ভারতীয় কুস্তিগীর সুশীলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ, যেতে হবে জেলে
জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছে শীর্ষ আদালতে। ফলে ভারতীয় অলিম্পিক পদক জয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমারকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুস্তিগীর সাগর ধনখড় খুনে যোগ থাকার অভিযোগ রয়েছে সুশীলের বিরুদ্ধে।
গত ৪ মার্চ দিল্লি হাই কোর্ট সুশীলকে জামিন দিয়েছিল। তবে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। বিচারপতি করোল জানিয়েছেন, সুশীলের জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন করেছিলেন নিহত কুস্তিগীর সাগরের বাবা। সেই আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সুশীলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
বর্ষীয়ান আইনজীবী সিদ্ধার্থ মৃদুল সওয়াল করেন সাগরের বাবা অশোক ধনখড়ের হয়ে। সুশীলের হয়ে সওয়াল করেছেন আর এক বর্ষীয়ান আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী।

সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার জেরে ২০২১-এর ৪ মে দিল্লির ছত্রশল স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে খুন করা হয় সাগরকে। সেই ঘটনায় সুশীল-সহ আরও দু’জন অভিযুক্ত। এর পর সুশীল পালিয়ে যান। ১৮ দিন ধরে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকার পর দিল্লি পুলিশ
২০২২-এর অক্টোবরে দিল্লির একটা আদালতে সুশীল এবং ১৭ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দ-বিধির একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে। তার মধ্যে হত্যা, দাঙ্গা, ষড়যন্ত্র, অপহরণের মতো ধারা ছিল। দিল্লি পুলিশ চার্জশিটে জানিয়েছেন, সাগর খুনের মূল চক্রী সুশীলই। তিনি কুস্তিমহলে প্রভাব খাটিয়ে সাগরকে খুন করেছেন। সুশীল অবশ্য সব অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
মার্চে জামিনের আবেদন করতে গিয়ে সুশীল জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই সাড়ে তিন বছর জেলে কাটিয়েছেন। এখনই তাঁর মামলার বিচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। দিল্লি হাই কোর্ট সব পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁকে জামিন দেয়। সুশীলের সেই জামিনই খারিজ হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে জাপানের তাতসুহিরো ইয়োনেমিৎসুকে হারিয়ে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন সুশীল কুমার। এছাড়া ২০১০ দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে ৬৬ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে স্বর্ণ এবং একই বছর বিশ^ কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জেতেন।
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: