বিধ্বস্ত হয়ে কাঁদলেন নেইমার, বললেন ‘আমি লজ্জিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০২৫ ১১:০৮ এএম

ব্রাজিল তো বটেই। পুরো বিশ্বের ব্রাজিলের সমর্থকদের কাছেও তিনি হিরো, মধ্যমণি। দুনিয়ার অন্যতম বড় তারকা নেইমার ক্যারিয়ারে বাজে একটি রাত কাটালেন রোববার। ভাস্কো দা গামার কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে তার দল স্যান্তোস। ক্যারিয়ারে যা ব্রাজিল তারকার সবচেয়ে বাজে হার। জীবনের এই রাতটি হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। মুখে বললেন, ‘আমি লজ্জিত’।

 

ব্রাজিলিয়ান সেরি আ লিগের ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন নেইমার। মাঠেই ক্লাব স্টাফদের একজন ব্রাজিল সুপারস্টারকে সান্ত¡না দেন। তবে নেইমারের কান্না যেন থামছেই না। কাঁদতে কাঁদতেই মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

নেইমারের মতো একজন তারকা দলে থাকতে কীভাবে হারলো দল, সেটি যেন মানতেই পারেনি সান্তোসের সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষে নেইমারদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা। নেইমারও তাদেরকে সমর্থন জানিয়েছেন। ম্যাচ শেষে নিজের হতাশার সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ও প্রতিবাদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন নেইমার।

 

ঊ্রাজিল সুপারস্টার বলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্সে আমি পুরোপুরি হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদের পূর্ণ অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা ছাড়া। কিন্তু তারা গালি দিক বা সমালোচনা করুক, সেটা তাদের অধিকার।’

 

সতীর্থরা সান্ত¡না দিলেও নেইমারের কান্না থামেনি। কেন এতটা কষ্ট পেয়েছেন, সেই অনুভূতি প্রকাশ করে ৩৩ বয়সী তারকা বলেন, ‘এটা চরম লজ্জার অনুভূতি। আমার জীবনে এরকম অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ হলো। আমার চোখের পানি রাগ থেকে এসেছে, সবকিছুর জন্য। দুর্ভাগ্যবশত আমি সবকিছুতে সাহায্য করতে পারি না। সব মিলিয়ে এটা সম্পূর্ণ বাজে ছিল, এটাই বাস্তবতা।’

 

লজ্জাজনক এই হারের পর প্রধান কোচ ক্লেবার জাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে স্যান্তোস। ন্তৃতিতে তাকে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে ক্লাবটি।

 

ভাস্কো দা গামা গোল উৎসব শুরু করে ১৮ মিনিটে। লুকাস পিটন ভাস্কোকে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধে একটি গোলই পায় ভাস্কো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সান্তোসের রক্ষণ দুমড়ে মুচড়ে ফেলে ক্লাবটি, একে একে করে পাঁচটি গোল।

 

লিভারপুল ও বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড কৌতিনহো চলতি মৌসুমেই ভাস্কোতে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় দলে নেইমারের এই সতীর্থ দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করেন। ৫৪ ও ৬২ মিনিটে গোল করেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। তার আগে ৫২ মিনিটে এক গোল করেন ডেভিড। এতে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ভাস্কো।

 

এছাড়া ৬০ মিনিটে রায়ান রোচা পেনাল্টি থেকে গোল করে ভাস্কোকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এরপর ৬৮ মিনিটে দানিলো নেভেস ভাস্কোর গোল উৎসবে যোগ দেওয়ায় অবিশ্বাস্যভাবে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-০ তে। এই জয়ে ভাস্কো অবনমন অঞ্চলের বাইরে উঠে এসেছে। বর্তমানে টেবিলের ১৫তম স্থানে থাকা স্যান্তোসের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে তারা।

ওএফ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর