পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ ক্লাবগুলোর প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৬ আগষ্ট ২০২৫ ১৮:০৮ পিএম

গত চার বছর ধরে বন্ধ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ। এই সময়ে অনেকের বয়স বেড়ে গেছে। তারকা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও তা অঙ্কুড়েই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কোন হেলদোল নেই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। তাই এবার পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ মাঠে গাড়নোর দাবীতে মাঠে নামলেন ক্ষুদে ফুটবলার ও সংগঠকরা।



গত চার বছর ধরে বন্ধ বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাইওনিয়ার ফুটবল লিগের। এই সময়ে অনেকেরই বয়স বেড়ে গেছে। তারকা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও তা অঙ্কুড়েই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কোন হেলদোল নেই দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। তাই এবার পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ মাঠে গাড়নোর দাবীতে মাঠে নামলেন ক্ষুদে ফুটবলার ও সংগঠকরা। আজ বুধবার বাফুফের সামনেই দ্রুত পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ চালুর দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তারা। এ সময় গাজী সেলিম ফুটবল একাডেমের কর্ণধার গাজী সেলিম, লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমির সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন, প্রভাতী ফুটবল একাডেমির সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পদ্মা মোহামেডান স্পোর্টস একাডেমির সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদ, এফসি ইউনইটেড ফেনীর সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবদুল্লাহ হারুন রানা, ফ্রেন্ডস অ‌্যান্ড ব্রাদার্স স্পোর্টস একাডেমির সাধারন সম্পাদক মো. দিপু, সকাল ক্লাব সুনামগঞ্জের সভাপতি রাকিব ভূঁইয়া, মহানগর ক্রীড়া চক্রের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, নওয়াপাড়া কিশোর একাদশ ফুটবল একাডেমি সভাপতি তাজুল ইসলাম ও দারুস সালাম স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি মো. আলী উপস্থিত ছিলেন। 


সবশেষ ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি এই লিগ। তৎকালীন বাফুফের পাইওনিয়ার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মহিদুর রহমান মিরাজ। কিন্তু এই লিগটিকে তিনি নিয়মিত করতে পারেননি। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় বাফুফের নির্বাচন। পাইওনিয়ার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান বাফুফের সদস্য হাজী টিপু সুলতান। জানা গেছে, বৃহৎ এই লিগটি চালু করার বিষয়ে চেষ্টা করছেণ তিনি।

 

আজ প্রতিবাদ সমাবেশে গাজী সেলিম ফুটবল একাডেমির কর্ণধার গাজী সেলিম বলেন, ‘দ্রুত এই লিগ চালু করার জন্য আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। যদি তা না করা হয়, তাহলে আমরা বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো।’ তিনি যোগ করেন, ‘পাইওনিয়ার লিগের ৭০,৮০টি দল রয়েছে। আমরা আগেও নিবন্ধন করেছি। এইমাসে কিংবা এই বছর খেলা হবে- এমন কথা বলতে বলতে আর আলোর মুখ দেখছে না। অথচ এই লিগ থেকেই উঠে এসেছেন, শেখ মো. আসলাম, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, সম্রাট হোসেন এমিলি, প্রয়াত মোনেম মুন্না ও ছাইদ হাছান কানন এই লিগ থেকেই তারকা হয়েছেন। অথচ আজ তারকা বানানোর এই লিগটি এখন বন্ধ। যার ফলে খেলতে না পেরে ছেলেরা কিশোর গ্যাঙয়ে চলে যাচ্ছে, মাদকে আসক্ত হচ্ছে। গত চার বছরে প্রায় বিশ হাজার প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাইওনিয়ার ফুটবল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘১০ দিন আগেও পাইওনিয়ার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হাজী টিপু সুলতান আমাদের সঙ্গে সভা করে সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছিলেন। কিন্তু আজ ১০ দিন হয়ে গেলেও তিনি কথা বলেন না। সিনিয়র ফুটবল নিয়ে সবাই ব্যস্ত। কিন্তু খেলোয়াড় তৈরীর কারিগর পাইওনিয়ার নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আমাদের দাবী দ্রুত এই লিগ চালু করা হোক। বাচ্চারা যেন খেলা পায়।’

 

লাইজু কিডস ফুটবল একাডেমির সহসভাপতি শাহাদাত হোসেনের কথা, ‘সুযোগ থাকলেও ছোট ছেলেরা বড় হয়ে যাচ্ছে ফুটবল না খেলেই। অনেক ক্ষুদে ফুটবলারের তারকা হওয়ার সুপ্ত বাসনা আর প্রস্ফুটিত হচ্ছে না। চার বছরে অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন তারকা ফুটবলার হওয়া থেকে। আমাদের দাবী, এ বছরেই শুরু করা হোক পাইওনিয়ার লিগ।’

ওএফ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর