অভিষিক্ত হাসান নৈপূণ্যে উইন্ডিজকে হারাল পাকিস্তান
এক ম্যাচের দুই ইনিংসে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরি। উইন্ডজের তিনটি এবং পাকিস্তানের দুটি। তারপরও তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো পাকিস্তান। ত্রিনিদাদে স্বাগতিকদের তিন ফিফটি ছাপিয়ে তারা ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ ওভারে ২৮০ রানে অলআউট হয়। এভিন লুইস, শাই হোপ ও রোস্টন চেজ করেন হাফ সেঞ্চুরি। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেয় মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হাসান নওয়াজের ফিফটিতে। ৪৮.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৪ রান করে তারা।
ইনিংসের পঞ্চম বলে ব্র্যান্ডন কিংকে (৪) হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাহীন আফ্রিদির বলে ৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর কিসি কার্টি ও লুইস একসঙ্গে ৭৭ রান তোলেন। এই জুটি ভেঙে দেন সুফিয়ান মুকিম। কার্টি ৩০ রানে আউট হন। লুইস ৬২ বলে ৬০ রান করে থামেন সাইম আইয়ুবের বলে।
শেরফানে রাদারফোর্ড (১০) সুবিধা করতে পারেননি। তারপর অধিনায়ক হোপ ও চেজের ৬৪ রানের জুটিতে ৪১তম ওভারে দলীয় ২০০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোপ ৫৫ রানে শাহীনের শিকার হলে এই জুটি ভাঙে। পাকিস্তানি পেসার পরের ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে (৪) থামান।
চেজ ৫৩ রানে নাসিম শাহের শিকার হলে শেষ দিকে গুডাকেশ মোটির ক্যামিও ইনিংসে ২৮০ তে পৌঁছায় উইন্ডিজ। ১৮ বলে ৩১ রান করেন তিনি ৩ চার ও ২ ছয়ে।
শাহীন সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। তিনটি উইকেট পান নাসিম।
লক্ষ্যে নেমে ১৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে পাকিস্তানের। সাইম আইয়ুব (৫) তৃতীয় ওভারে উইকেট হারান। আব্দুল্লাহ শফিক ও বাবর আজমের ৪৭ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামলে নেয় পাকিস্তান।
২৯ রানে শফিক আউট হলে বাবর-রিজওয়ানে শক্ত অবস্থান নেয় পাকিস্তান। কিন্তু তিন রানের আক্ষেপে পুড়ে বাবর বিদায় নিলে ৫৫ রানের জুটি ভাঙে। সাবেক অধিনায়ক করেন ৪৭ রান।
সালমান আগাকে নিয়ে ৪০ রান তোলেন রিজওয়ান। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে পাকিস্তান। দুজনে ২২ রানের ব্যবধানে ফিরে গেলে ছোট ধাক্কা খায় তারা। সালমান ২৩ ও রিজওয়ান ৫৩ রানে আউট হন।
আর পেছনে তাকাতে হয়নি। হাসান নওয়াজ ও হুসেইন তালাতের ১০৪ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সফরকারীরা। ৫৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হয়েছেন নওয়াজ। ৪১ রানে খেলছিলেন তালাত।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: