এএফসি অ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই
আগামীকাল লাওসের মুখোমুখি হচ্ছেন আফঈদারা
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ এইচে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও লাওস। তবে অন্য প্রতিপক্ষ তিমুরলেস্তের বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা। আগামীকাল লাওসের বিপক্ষে আফঈদাদের প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ভালো প্রস্তুতির সঙ্গে রয়েছে সদ্যই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয়ের তাজা স্মৃতি। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের মিশন শুরুর আগে তাই আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। আসর শুরুর আগে মঙ্গলবার সব দলের অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের কথা, ‘আমরা এখানে এসেছি এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যেন প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো খেলতে পারি।’ আফঈদার কথাতেই পরিস্কার এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য কি হতে যাচ্ছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়েই চোখ পিটার বাটলার শিষ্যদের। এমনকি দলের সবার বিশ্বাস লাওস ম্যাচটাই হয়তো গ্রুপে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে।

ফিফা র্যাংকিংয়ে লাওস ১০৭ নম্বরে। সেখানে ১২৮ নম্বরে বাংলাদেশ। লাওসের চেয়ে র্যাংকিংয়ে ২১ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও দলটির বিপক্ষে জয়ের আশা করছেন বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। এই ম্যাচে জয়ের ছকে কীভাবে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠা যায়, অনুশীলনে আফঈদা খন্দকার-নবীনদের নিয়ে সেই কাজটি করেছেন বাটলার। এখন লাওসের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করতে পারলে দলের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও জোড়ালো হবে। সেক্ষেত্রে তিমুরলেস্তের ম্যাচে জয় ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে যতটা সম্ভব ভালো খেলে সেরা রানার্সআপ দল হতে চায় বাংলাদেশ। কারণ ৩৩ দলের এই বাছাই পর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের পাশাপাশি তিনটি সেরা রানার্সআপ দল মূল পর্বের ছাড়পত্র পাবে। আগামী বছর অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব হবে থাইল্যান্ডে। তারা স্বাগতিক হিসেবে খেলবে। থাইল্যান্ড যদি নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে চতুর্থসেরা রানার্সআপ দলটিও মূল পর্বের যোগ্যতা অর্জন করবে। বাংলাদেশকে সেরা রানার্সআপ দলগুলোর একটি হতে হলে লাওস ও তিমুরলেস্তের সঙ্গে জয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে যতটা সম্ভব কম ব্যবধানে হারতে হবে। সবচেয়ে নিরাপদ হলো তাদের সঙ্গে ড্র করতে পারা। সেটা সম্ভব হবে কি না, তা সময়ই বলবে।

লাওস ম্যাচ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মেয়েদের বেশ আত্মবিশ্বাসীই মনে হচ্ছে। এমনকি আত্মবিশ্বাসী কোচ পিটার বাটলারও। দক্ষিণ কোরিয়াকে তিনি নিজেদের গ্রুপে এগিয়ে রাখার কথা দেশ ছাড়ার আগেই বলে গেছেন। এমনকি কালকের সংবাদ সম্মেলনেও সেটি তিনি ফের উল্লেখ করেন, ‘সিনিয়র পর্যায়ে মেয়েদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিছুদিন আগেই তারা এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে। এখন অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে মেয়েদের উন্নতি প্রমাণের সময়।’
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: