আরেকটি ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে লাল সবুজের মেয়েরা
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পাঠ চুকিয়ে সিনিয়র মেয়েরা ইতিহাস হড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবার পালা অনূর্ধ্ব-২০ দলের। এএফসি নারী এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই টুর্নামেন্টের শুরুর দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে সেই কাজটি অনেকটা এগিয়ে রেখেছে। দারুণ দুই জয়ে বাছাই পর্বের ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে (নিজেদের দ্বিতীয়) পূর্ব তিমুরকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল রাতে দক্ষিণ কোরিয়া ও স্বাগতিক লাওসের মধ্যকার ম্যাচের দিকে।
.jpeg)
বাংলাদেশের গ্রুপের টপ ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়া। তারা প্রথম ম্যাচে ৯-০ গোলে পূর্ব তিমুরকে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। সেই তিমুরকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮-০ গোলে। ধারণা করা হয়েছিল, রাতে লাওসের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া বড় ব্যবধানে জিতবে। তবে তারা মাত্র ১-০ গোলে জেতায় গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশই।
দুই দলেরই দুই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬। গোল পার্থক্যও +১০। তবে বাংলাদেশ গোল করেছে ১১টি ও দক্ষিণ কোরিয়া ১০টি। এক গোল বেশি করায় দক্ষিণ কোরিয়াকে টপকে বাংলাদেশ আছে টেবিলের শীর্ষে।

আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ এএফসি এশিয়ান কাপের টিকিট পেতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশ। সেটি না হলে রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে সেরা তিনে থাকতে হবে।
তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই প্রথমবারের মতো বয়সভিত্তিক মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে জায়গা অর্জনের হাতছানি রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। সেক্ষেত্রে গ্রুপের শেষ ম্যাচ ড্র করতে পারলেই অর্থাৎ এক পয়েন্ট পেলেই বাংলাদেশ হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। কেননা, ম্যাচটি বাংলাদেশের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কোরিয়ার বিপক্ষে।

ম্যাচটি ড্র হয়ে গেলে বাংলাদেশ ও কোরিয়া উভয় দলই এক পয়েন্ট করে পাবে। সেক্ষেত্রে এখনকার মতো বাংলাদেশই থাকবে গ্রুপের শীর্ষে।
সিনিয়র নারী দল এরইমধ্যে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবার ইতিহাস লেখার অপেক্ষায় অনূর্ধ্ব-২০ দল। রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে আফঈদা খন্দকাররা।
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: