প্রথমবার আবাহনীর জার্সিতে ‘মোহামেডানের’ দিয়াবাতে
দীর্ঘ পাঁচ মৌসুম সাদা কালো জার্সিতে খেলেছেন। মাঠ মাতয়েছেন। মোহামেডানকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। মালির সেই ফুটবলার সুলেমান দিয়াবাতে এবার আকাশী হলুদ জার্সিতে খেলবেন। তার ট্রায়ালও দিয়েছেন আজ রোববার। জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফের প্রস্তুতিতে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেন তিনি।
আবাহনী দিয়াবাতের জন্য নতুন ক্লাব। গত ছয় বছর আবাহনী ছিল প্রতিপক্ষ। এবার আবাহনীতে যোগ দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘আবাহনীর সব খেলোয়াড়কে আমি চিনি। তাই তারা আমার কাছে নতুন নয়। হয়তো খেলাটা নতুন, তবে যেমনটা বলেছি ফুটবল একই ধরনের। খালি নামটা ভিন্ন।'
আগামী ১২ আগস্ট আবাহনীর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচ। আবাহনীর অভিষেক ম্যাচেই আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষ কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেড। এ ম্যাচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার এএফসি টুর্নামেন্টে খেলছি। তাই আমি আমার খেলাটা খেলবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা জেতার চেষ্টা করবো। জয়ের জন্য সবকিছু করবো।’
ডপ্রমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঢাকা মোহামেডানের এএফসি টুর্নামেন্ট খেলার কথা ছিল। ক্লাব লাইসেন্স না থাকায় আবাহনী সুযোগ পেয়েছে। দ্বৈবচক্রে দিয়াবাতে এএফসি আসরে খেললেও ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। এ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘ফুটবল একজনের খেলা নয়। শুধু বিদেশিদের জন্য নয়, এখানে স্থানীয়রাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি তারা ভালো খেলোয়াড়। তারা যদি আমাকে সহায়তা করে আমরা কিছু একটা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’
মোহামেডানের চেয়ে আবাহনীর কোচিং স্টাফকে এগিয়ে রাখলেন দিয়াবাতে, ‘প্রথম দিন অনুশীলন করে মনে হয়েছে আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। এখানকার কোচিং কৌশল খুব ভালো। মারুফের (কোচ) কৌশল খুব ভালো, গেম প্ল্যানিংও। তাই পার্থক্যটাও বড়।’
আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চান মালির এই ফুটবলার, ‘এই মৌসুমে তারা চেষ্টা করবে কোনও শিরোপা জেতার। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। ফুটবলে যে কোনও কিছু হতে পারে, মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আবাহনী কেন পারবে না। আমি অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। জানি কীভাবে খেলতে হয়। আমি আমার সেরাটা দেবো এবং গোল করবো।'
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: