এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ
প্লে অফেই বিদায় আবাহনীর
ঢাকা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আবাহনী ২-০ গোলে হেরেছে মুরাস ইউনাইটেডের কাছে। আর এতে এক ম্যাচেই আবাহনীর এএফসির প্রতিযোগিতার স্বপ্নযাত্রা থেমে গেছে।
প্লে অফেই বিদায় আবাহনীর
ইউরোপিয়ান ঘরানার গতিময় ফুটবলে অভ্যস্ত মুরাস ইউনাইটেডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলা কঠিনই ছিল আবাহনীর জন্য। তারপরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফে প্রথমার্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া হয়নি আকাশী নীলদের। ঢাকা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আবাহনী ২-০ গোলে হেরেছে মুরাস ইউনাইটেডের কাছে। আর এতে এক ম্যাচেই আবাহনীর এএফসির প্রতিযোগিতার স্বপ্নযাত্রা থেমে গেছে।
কাগজে কলমে যদি ধরা হয় অবশ্যই কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেড ফেবারিট। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফে আবাহনী খেলতে নামে ডার্ক হর্স হিসেবে। যেখানে মুরাস ইউনাইটেডের ৭ জন ফুটবলার ইউক্রেনের। সেই দলটার সঙ্গেই কিনা প্রথমার্ধে দারুণ লড়াই করেছে।
প্রথমার্ধ শেষে গোল শূন্য অবস্থায় ড্রেসিং রুমে যায় দুই দল। পুরো ম্যাচে বলতে গেলে দুর্দান্ত কিছু সেভ করেছেন আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। আর সোলেমান দিয়াবাতের যাদু সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও আল আমিন। অন্তুত দুবার সহজ সুযোগ পেয়েও গোলে অনুবাদ করতে পারেননি ইব্রাহিম ও আল আমিন। স্টেডিয়ামে উপস্থিত আবাহনীর হাজার খানেক সমর্থক শুধু আফসোসই করেছেন।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ মারুফুল হক বলেছিলেন মুরাসের পরিকল্পনা ধ্বংস করতে চান। উল্টো নিজেরা সুযোগ নষ্ট করেছেন। দিয়াবাতে যেন নিঃসঙ্গ শেরপার মতো লড়েছেন। একপাশে মোরসালিন, অন্যপাশে আল আমিন এবং দিয়াবাতে খেলেছেন আক্রমণের মাঝখানে। কিন্তু দিয়াবাতেকে সেভাবে বলের যোগান দিতে পারেননি কেউ।
শুরুতেই গোল পেতে পারতো মুরাস ইউনাইটেড। ম্যাচের ৬ মিনিটে মুরাসের ফরোয়ার্ড ওলে মারচুক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। একেবারে মিতুলকে মুখোমুখি পেয়েও বাইরে মারেন বল।
এরপর ১০ মিনিটে মুরাসের চাবেল গোমেজের শট দারুণ দক্ষতায় ফিস্ট করেন মিতুল।
দিয়াবাতেকে একেবারে বোতলবন্দী করে রাখলেও বেশ কবার বক্সে ঢুকে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। তেমনই একটা আক্রমণ ছিল ১৮ মিনিটে। দিয়াবাতে বক্সে ঢুকেও পড়ে যান। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে আবারও শট নিলেন। কিন্তু বক্সের ওপর দিয়ে গেল বল।
এরপর ২২ মিনিটে আবারও ত্রাতা মিতুল মারমা। দুর্দান্ত ফিস্ট করে গোল বাঁচালেন। এবারও চাবেল গোমেজ শট নেন।
২৩ মিনিটে আল আমিন বল নিয়ে বক্সে ঢুকে দিয়াবাতেকে না দিয়ে নিজে মারলেন। যা হবার তাই হলো। গোল পেল না আবাহনী।
৩২ মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করে আবাহনী। দিয়াবাতে ও আল আমিনের দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢোকার পর দিয়াবাতে ক্রস দেন। কিন্তু ইব্রাহিম বাইরে মারলেন বল।
মোরসালিন অবশ্য একবার লং শটে বাইরে মারলেন বল। এরপর ৪৫ মিনিটে একটা ফ্রি কিক পায় মুরাস ইউনাইটেড। একেবারে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে সেই ফ্রি কিকে অবশ্য গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসে আবাহনী। দারুণ একটা পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল করেন আতাই জুমাশেভ। বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা মুরাসের এক ফরোয়ার্ডের ক্রসে হেড করেন আতাই। মিতুলের মাথার ওপর দিয়ে বল ঢোকে জালে।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইব্রাহিমকে তুলে জাফর ইকবালকে নামান মারুফুল হক। কিন্তু জাফর ইকবালও কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। অবশ্য ৭২ মিনিটে মোরসালিনের শট ফিস্ট করেন মুরাসের ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক ওরেস্ত কস্তিক।
ম্যাচের শেষ মিনিটে ওরেস্ত কস্তিকের দলের প্রের গোলটিও করেন।
বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর কোনও দল গোল করতে পারেননি।
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: