ভারতীয় আইএসএল বন্ধের উপক্রম!
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল। আইপিএলের মতো বিদেশি ফুটবলার এনে জাকজমক আয়োজনই করেছিল আইএসএল। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বকীয়তা হারিয়ে আজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম উপমহাদেশের এই ফুটবল লিগটি।
কারণ ইতোমধ্যে পাকাপাকিভাবে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ১১টি ক্লাব। ভারতীয় মিডিয়ার খবর, অল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) সতর্ক করে দিয়েছে আইএসএলের ১১টি ক্লাব। চিঠি পাঠিয়ে তারা জানিয়ে দিয়েছে, দ্রুত ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা না মিটলে পাকাপাকি ভাবে ক্লাব উঠিয়ে দেবে তারা। এআইএফএফ’র সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়েছে তারা। এই চিঠিতে অবশ্য সই করেনি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান।
চিঠিতে ক্লাবগুলো জানিয়েছে, আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল এবং ফেডারেশনের মধ্যে মাস্টার রাইট্স এগ্রিমেন্ট বা এমআরএ সই না হওয়ার ফলে ভারতীয় ফুটবল পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘গত ১১ বছর ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ এবং সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে ক্লাবগুলো যুব ফুটবলের উন্নয়ন, অনুশীলনের পরিকাঠামো, ফুটবলের প্রচার করে চলেছে। পেশাদার ক্লাবগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় ফুটবলের প্রতি আস্থা আবার ফিরিয়ে এনেছে।’
তারা আরও লিখেছে, ‘এই গোটা প্রক্রিয়া এখন ভেঙে পড়ার মুখে। যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা এখনই মেটানো দরকার। না হলে ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর। কাজকর্ম বন্ধ থাকায় এবং লিগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকায় বেশির ভাগ ক্লাবই পাকাপাকি ভাবে ক্লাব উঠিয়ে দেওয়ার দিকে হাঁটতে শুরু করেছে। ২০২৫-২৬ আইএসএল মরসুম হয়তো চালুই হবে না। এটা শুধু প্রশাসনিক সমস্যা নয়, ভারতীয় ফুটবলের কাছেও সঙ্কটজনক অবস্থা।’
বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ওড়িষ্যা, চেন্নাইয়িন, জামশেদপুর, গোয়া, কেরালা ব্লাস্টার্স, পাঞ্জাব, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, মুম্বাই সিটি এবং মোহামেডান চিঠিতে সই করেছে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সই করেনি। ১১টা ক্লাবের দাবি, অচলাবস্থার কারণে সরাসরি ২০০০ মানুষের জীবন প্রত্যক্ষ ভাবে সমস্যায় পড়েছে। লাভের পরিমাণ শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। পৃষ্ঠপোষকরা দূরে সরে যাচ্ছে। প্রতিটা ক্লাবের কাছেই এটা বিরাট আর্থিক ধাক্কা বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
ওএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: